Halaman

    Social Items



প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য আদর্শ করে পাঠিয়েছেন। ইসলাম যে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা সে ব্যবস্থার উদাহরণ রাসূলে আকরাম (সা.)। মহাগ্রন্থ আল কোরআন সে কথাই বলছে, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে উৎকৃষ্টতম আদর্শ রয়েছে। (সূরা আহযাব, আয়াত নং-২১)। রাসূলের (সা.) জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মুমিনের জন্য অনুকরণীয়। তিনি যেভাবে ঘুমিয়েছেন, যেভাবে কথা বলেছেন, যেভাবে সংসার চালিয়েছেন, যেভাবে ইবাদত করেছেন, যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে জিহাদ করেছেন, সর্বোপরি যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন- ঠিক সেভাবে অনুসরণ করাই মুমিনের কর্তব্য। তার থেকে কোনো কিছু কমবেশিও করা যাবে না। করলে সেটা বিদায়াত, আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাসূল (সা.) আল্লাহর অতি প্রিয় ছিলেন। রাসূলকে মানুষ হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়ে মানুষের আদর্শ বানিয়েছেন। রাসূল (সা.) অন্যান্য মানুষের মতোই খাওয়া-দাওয়া করতেন, বাজারে যেতেন, সংসার জীবনযাপন করেছেন। সমাজে বাস করেছেন। কাফেররা বরং বিস্ময় প্রকাশ করত, তাদের কথা আল্লাহ কোরআনে তুলে ধরেছেন, এ আবার কেমন রাসূল যে খাওয়া-দাওয়া করে এবং হাটে-বাজারে যাতায়াত করে! (সূরা ফোরকান, আয়াত-৭)। রাসূল (সা.) অবশ্য কারও কথা গায়ে মাখেননি বরং তার শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও তিনি ইসলামের পথে অটুট ছিলেন, দ্বীনের কাজ করে গেছেন। আর এ দ্বীনের স্পর্শে এসেই সব মানুষ সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে। রাসূল (সা.) তার সাহাবাদের নিয়েই সবচেয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অসভ্য আরব জাতিকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ, সভ্য জাতিতে পরিণত করলেন। রাসূল (সা.) মহাগ্রন্থ আল কোরআন দিয়েই তা করেছেন। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে অহি আসত। তিনি নিজ থেকে কিছু বলেননি। কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, 'তিনি নিজের খেয়ালখুশিমতো কথা বলেন না, যা বলেন তা তার কাছে নাজিলকৃত অহি ছাড়া আর কিছুই নয়।'
রাসূলের (সা.) আদর্শ মেনে চলব দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি লাভের জন্য। রাসূল যা বলেছেন, যা করেছেন তার মধ্যেই সত্যিকার সফলতা নিহিত রয়েছে। জীবনের কোনো পর্যায়ে তিনি মিথ্যা বলেননি। ছোটবেলাতেই উপাধি পেয়েছিলেন, আল-আমিন, আস-সাদিক। আমানতদারিতায় তিনি ছিলেন অতুলনীয়। কাফেররা পর্যন্ত তার কাছে আমানত রাখত। বন্ধু হিসেবে তিনি অতুলনীয়। পিতা হিসেবে অনুপম। নেতা হিসেবে অসাধারণ। সাহাবায়ে কেরাম তাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। শিশুর ভরসাস্থল ছিলেন রাসূল। সেনাপতি হিসেবে তিনি অনন্য। জিহাদের ময়দানে রাসূলের নেতৃত্বেই মুসলামানরা জয় ছিনিয়ে আনেন। এখানেও রাসূলের আদর্শ বিশ্ববিখ্যাত। তিনি বলেছেন, কেউ আক্রান্ত হওয়ার আগে কোনো শত্রুকে আক্রমণ করা যাবে না। যুদ্ধে নারী-শিশু-অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতির কথা বলেছেন। স্ত্রীদের কাছে রাসূল (সা.) শ্রেষ্ঠতম স্বামী। প্রিয় নবী (সা.) সারাদিনের দ্বীনের কাজে সময় দিয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে যখন বাড়ি ফিরতেন, ঘরে খাবার না পেয়েও তিনি গোসা হননি। বরং যখন দেখতেন খাবার প্রস্তুত হয়নি, স্ত্রী কাজ করছে, রাসূলও (সা.) কাজে লেগে স্ত্রীদের সাহায্য করতেন। এভাবেই তো তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মানুষ। দুনিয়ার মানুষের সর্বোত্তম আদর্শ।
মহান আল্লাহ তার হাবিবকে দুনিয়ার জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, 'হে নবী, আমি আপনাকে গোটা সৃষ্টির জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।' (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-১০৭)। রাসূল দুনিয়াবাসীকে সব শিখিয়েছেন। জীবনের কোনো কিছু তিনি বাদ দেননি। শিশুর সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে। পয়ঃনিষ্কাশন কীভাবে করতে হবে। কীভাবে খেতে হবে কিছুই বাদ যায়নি। দুনিয়ায় তার কোনো শিক্ষক ছিল না। স্বয়ং আল্লাহ তাকে অহির মাধ্যমে শিখিয়েছেন। আর আমাদের সবার শিক্ষক করেছেন তাকে। এ জন্যই রাসূল বলেছেন, আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। রাসূলে মকবুলের (সা.) শ্রেষ্ঠত্ব অন্য ধর্মাবলম্বীরাও স্বীকার করেছেন।
রাসূলের (সা.) আনীত জীবনব্যবস্থা ইসলাম। প্রিয় নবী সে ইসলামের পূর্ণতা দিয়েছেন। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ জীবনব্যবস্থা হিসেবে দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছেও কেবল মনোনীত জীবন বিধান ইসলাম। এখন রাসূল আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তিনি দুটি জিনিস রেখে গেছেন। রাসূল বিদায় হজের ভাষণে তা-ই বলেছেন, 'আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে গেলাম- ১. কিতাবুল্লাহি আল্লাহর কিতাব অর্থাৎ কোরআন এবং ২. আমার সুন্নাহ বা কর্মনীতি তথা হাদিস; যতদিন তোমরা এই দুটিকে আঁকড়ে ধরে রাখবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। আজকের মুসলমানদের দুর্দশার কারণ হলো কোরআন ও হাদিস থেকে সরে যাওয়া। এই রবিউল

রাসূল (সা.) অনুকরণীয় জীবনাদর্শ



প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য আদর্শ করে পাঠিয়েছেন। ইসলাম যে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা সে ব্যবস্থার উদাহরণ রাসূলে আকরাম (সা.)। মহাগ্রন্থ আল কোরআন সে কথাই বলছে, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে উৎকৃষ্টতম আদর্শ রয়েছে। (সূরা আহযাব, আয়াত নং-২১)। রাসূলের (সা.) জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মুমিনের জন্য অনুকরণীয়। তিনি যেভাবে ঘুমিয়েছেন, যেভাবে কথা বলেছেন, যেভাবে সংসার চালিয়েছেন, যেভাবে ইবাদত করেছেন, যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে জিহাদ করেছেন, সর্বোপরি যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন- ঠিক সেভাবে অনুসরণ করাই মুমিনের কর্তব্য। তার থেকে কোনো কিছু কমবেশিও করা যাবে না। করলে সেটা বিদায়াত, আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাসূল (সা.) আল্লাহর অতি প্রিয় ছিলেন। রাসূলকে মানুষ হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়ে মানুষের আদর্শ বানিয়েছেন। রাসূল (সা.) অন্যান্য মানুষের মতোই খাওয়া-দাওয়া করতেন, বাজারে যেতেন, সংসার জীবনযাপন করেছেন। সমাজে বাস করেছেন। কাফেররা বরং বিস্ময় প্রকাশ করত, তাদের কথা আল্লাহ কোরআনে তুলে ধরেছেন, এ আবার কেমন রাসূল যে খাওয়া-দাওয়া করে এবং হাটে-বাজারে যাতায়াত করে! (সূরা ফোরকান, আয়াত-৭)। রাসূল (সা.) অবশ্য কারও কথা গায়ে মাখেননি বরং তার শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও তিনি ইসলামের পথে অটুট ছিলেন, দ্বীনের কাজ করে গেছেন। আর এ দ্বীনের স্পর্শে এসেই সব মানুষ সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে। রাসূল (সা.) তার সাহাবাদের নিয়েই সবচেয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অসভ্য আরব জাতিকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ, সভ্য জাতিতে পরিণত করলেন। রাসূল (সা.) মহাগ্রন্থ আল কোরআন দিয়েই তা করেছেন। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে অহি আসত। তিনি নিজ থেকে কিছু বলেননি। কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, 'তিনি নিজের খেয়ালখুশিমতো কথা বলেন না, যা বলেন তা তার কাছে নাজিলকৃত অহি ছাড়া আর কিছুই নয়।'
রাসূলের (সা.) আদর্শ মেনে চলব দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি লাভের জন্য। রাসূল যা বলেছেন, যা করেছেন তার মধ্যেই সত্যিকার সফলতা নিহিত রয়েছে। জীবনের কোনো পর্যায়ে তিনি মিথ্যা বলেননি। ছোটবেলাতেই উপাধি পেয়েছিলেন, আল-আমিন, আস-সাদিক। আমানতদারিতায় তিনি ছিলেন অতুলনীয়। কাফেররা পর্যন্ত তার কাছে আমানত রাখত। বন্ধু হিসেবে তিনি অতুলনীয়। পিতা হিসেবে অনুপম। নেতা হিসেবে অসাধারণ। সাহাবায়ে কেরাম তাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। শিশুর ভরসাস্থল ছিলেন রাসূল। সেনাপতি হিসেবে তিনি অনন্য। জিহাদের ময়দানে রাসূলের নেতৃত্বেই মুসলামানরা জয় ছিনিয়ে আনেন। এখানেও রাসূলের আদর্শ বিশ্ববিখ্যাত। তিনি বলেছেন, কেউ আক্রান্ত হওয়ার আগে কোনো শত্রুকে আক্রমণ করা যাবে না। যুদ্ধে নারী-শিশু-অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতির কথা বলেছেন। স্ত্রীদের কাছে রাসূল (সা.) শ্রেষ্ঠতম স্বামী। প্রিয় নবী (সা.) সারাদিনের দ্বীনের কাজে সময় দিয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে যখন বাড়ি ফিরতেন, ঘরে খাবার না পেয়েও তিনি গোসা হননি। বরং যখন দেখতেন খাবার প্রস্তুত হয়নি, স্ত্রী কাজ করছে, রাসূলও (সা.) কাজে লেগে স্ত্রীদের সাহায্য করতেন। এভাবেই তো তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মানুষ। দুনিয়ার মানুষের সর্বোত্তম আদর্শ।
মহান আল্লাহ তার হাবিবকে দুনিয়ার জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, 'হে নবী, আমি আপনাকে গোটা সৃষ্টির জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।' (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-১০৭)। রাসূল দুনিয়াবাসীকে সব শিখিয়েছেন। জীবনের কোনো কিছু তিনি বাদ দেননি। শিশুর সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে। পয়ঃনিষ্কাশন কীভাবে করতে হবে। কীভাবে খেতে হবে কিছুই বাদ যায়নি। দুনিয়ায় তার কোনো শিক্ষক ছিল না। স্বয়ং আল্লাহ তাকে অহির মাধ্যমে শিখিয়েছেন। আর আমাদের সবার শিক্ষক করেছেন তাকে। এ জন্যই রাসূল বলেছেন, আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। রাসূলে মকবুলের (সা.) শ্রেষ্ঠত্ব অন্য ধর্মাবলম্বীরাও স্বীকার করেছেন।
রাসূলের (সা.) আনীত জীবনব্যবস্থা ইসলাম। প্রিয় নবী সে ইসলামের পূর্ণতা দিয়েছেন। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ জীবনব্যবস্থা হিসেবে দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছেও কেবল মনোনীত জীবন বিধান ইসলাম। এখন রাসূল আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তিনি দুটি জিনিস রেখে গেছেন। রাসূল বিদায় হজের ভাষণে তা-ই বলেছেন, 'আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে গেলাম- ১. কিতাবুল্লাহি আল্লাহর কিতাব অর্থাৎ কোরআন এবং ২. আমার সুন্নাহ বা কর্মনীতি তথা হাদিস; যতদিন তোমরা এই দুটিকে আঁকড়ে ধরে রাখবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। আজকের মুসলমানদের দুর্দশার কারণ হলো কোরআন ও হাদিস থেকে সরে যাওয়া। এই রবিউল

Load Comments

Subscribe Our Newsletter