Halaman

    Social Items

২৭.৭.২০১৮ শুক্রবার জুমা’র নামাজের পরপরই এলাকাবাসীর চোখের সামনেই পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায় শরীয়তপুরের জাজিরার খালাসিকান্দির শত বছরের পুরনো জামে মসজিদটি। এরপর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নেন অন্যত্র

পদ্মায় বিলীন হয়ে যাওয়া মা-মেয়ের ঘরবাড়ি ও মা-মেয়ের আর্তনাদ নিঃশ্বাস।
শুধু এই এলাকাই নয়, জেলার জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জনপদ পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুম শুরুর পর আগ্রাসী হয়ে উঠে উত্তাল পদ্মা। দিনদিন ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় বিলীন হচ্ছে তীর সংলগ্ন ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। গত একমাসে ভিটেমাটি হারিয়ে ইতোমধ্যে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার জানালেও ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে, যোগাযোগ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
ভাঙন রোধে, ২০১২ সালে শরীয়তপুরের আট দশমিক ৯ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে দুশো’ ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ের সুরেশ্বর নামে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর গত চারবছরে অন্তত কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হলেও প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি।স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় সর্বস্বান্ত হচ্ছেন নদীতীরের মানুষ। 
পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যা কিছু ঘরবাড়ি চিত্র,


শুধু পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে না ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে মানুষের স্বপ্ন।

       
মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের অনুষঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে বিভিন্ন ফুল এবং গাছপালা। বিশ্বের অনেক ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক প্রথার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে অনেক গাছ বা উদ্ভিদ রয়েছে, যা শক্তিদায়ক, রোগমুক্তি এবং কখনো কখনো ঐশ্বরিক জগতের মাধ্যম হিসাবেও দেখা হয়। সংগীত শিল্পী জাহ্নবী হ্যারিসন এরকম সাতটি পবিত্র গাছের সম্মিলন ঘটিয়েছেন, যেখানে প্রাচ্যের পদ্মফুল থেকে শুরু করে পাশ্চাত্যের পুদিনা রয়েছে।

কিন্তু পবিত্র বলে বিবেচিত এসব উদ্ভিদের বিশেষত্ব কি? অতীতে মানুষ এসব গাছকে যতটা আবশ্যক বলে মনে করতো, এখনো কি সেরকম ভাবে? এসব গাছের প্রভাবই বা কি? সবচেয়ে বড় কথা, এসব গাছের এতো গুরুত্ব কেন?

সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়, এরকম সাতটি গাছ বা উদ্ভিদের অতীত ও বর্তমান বিশ্লেষণ করে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে:

পদ্ম ফুল
পদ্ম ফুল হচ্ছে এমন একটি উদ্ভিদ, যেটির একেক স্তরের পাপড়ি প্রাচ্যের ধর্মীয় শিক্ষা বা সংস্কারে বিভিন্ন অর্থ বহন করে। হিন্দুদের কাছে চমৎকার এই ফুলটি জীবন, উর্বরতা আর পবিত্রতার প্রতীক। ফুলটিকে পবিত্র বলে মনে করে বৌদ্ধরাও। কাদা ও ময়লার ওপর জন্ম নেয়া এই সুন্দর ফুলটি যেন নির্লিপ্ততারও প্রতীক। যদিও এই উদ্ভিদের শেকড় কাদার ভেতর, কিন্তু ফুলটি পানির ওপরে ভেসে থাকে।

গল্পগাথাঁ প্রচলিত রয়েছে যে, ভগবান বিষ্ণুর নাভির ভেতর থেকে পদ্মের জন্ম আর ব্রহ্মা এর কেন্দ্রে বসে থাকেন। অনেকে বিশ্বাস করেন, ঈশ্বরের হাত আর পা পদ্ম ফুলের মতো এবং তার চোখ ফুলের পাপড়ির মতো। ফুলের কুঁড়ি যেমন কোমল, ঈশ্বরের স্পর্শ আর দর্শনও সেরকম। হিন্দু ধর্মে বলা হয়, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই পদ্মের পবিত্র আত্মা রয়েছে।

মিসলটো
বর্তমান কালে মিসলটো ক্রিসমাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয়, কিন্তু প্রাচীন কেল্টিক ধর্মীয় নেতাদের ক্রিয়াকর্মে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল এই উদ্ভিদ। তারা বিশ্বাস করতো, সূর্য দেবতা টারানিসের সংস্পর্শ রয়েছে মিসলটোর মধ্যে, ফলে যে গাছে মিসলটো জন্ম নেবে বা যে ডালে সেটি ছড়াবে, সেটিও পবিত্র বলে বিবেচিত হবে।

শীতের সময় যখন সূর্য সবচেয়ে দূরে থাকে, সেদিন প্রধান ধর্মযাজক সাদা কাপড় পড়ে একটি সোনার কাস্তে দিয়ে ওক গাছ থেকে পবিত্র মিসলটো কেটে সংগ্রহ করতেন। এই বিশেষ গাছ এবং তার ফল ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম বা ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হতো। তখন বিশ্বাস করা হতো যে এর জাদুকরী ক্ষমতা রয়েছে। মিসলটোর একটি অংশই রোগ সারাতে পারে, যেকোনো বিষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে, মানব শরীরে উর্বরতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ডাইনির ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। তবে সত্যি কথা হল, এটা পুরোটাই ভুল ধারণা। বরং পেটে গেলে মিসলটো বিষাক্ত হয়ে ওঠে।

পেয়টে
অনেক শিল্পী দাবি করেন, পেয়টে ব্যবহার করায় তাদের সৃষ্টিশীলতা অন্যমাত্রা পেয়েছে।  পেয়টে হলো ছোট, কাণ্ডহীন একপ্রকার ক্যাকটাস, যেটি টেক্সাস এবং মেক্সিকোর মরুভূমিতে জন্মে থাকে। সহস্রকাল ধরে প্রাচীন গোত্র বা আদিবাসী মানুষজন এই গাছটিতে তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে আসছে।

তুলসী
হিন্দু ধর্মে বলা হয়, কৃষ্ণ এবং তার ভক্তদের সেবা করার জন্য বৃন্দাবনের একজন অভিভাবক হিসাবে দেবী বিরিন্দাই তুলসী পাতা হিসাবে জন্ম নেন। আবার প্রাচীন গ্রন্থে বলা হয়, কৃষ্ণ নিজেই তাকে তুলসী আকারে গ্রহণ করেছেন। ফলে যেখানেই এই গাছটির জন্ম হোক না কেন, সেটিকে পবিত্র বলে বিবেচিত বৃন্দাবনের মাটি বলেই মনে করা হয়, যেখানে এই গাছটি প্রচুর পরিমাণে জন্মে থাকে। সারা পৃথিবী জুড়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দু তাদের প্রতিদিনের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে, মন্দিরে বা বাসায়, তুলসী গাছের পাতা ব্যবহার করেন।

ইয়ু গাছ
সারা বছর ধরে সবুজ থাকে এমন একটি দেবদারু জাতের গাছ ইয়ু, যেটি হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে। অনেকেই এই গাছটিতে পুনর্জন্ম এবং অনন্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি হিসাবে দেখেন। এর কারণ, এই গাছের ভেঙ্গে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ডালপালা থেকে নতুন গাছের জন্ম হতে পারে। এমনকি পুরনো গাছের গুড়োর ভেতর থেকেও নতুন একটি ইয়ু গাছের জন্ম হতে পারে, তাই অনেকে একে পুনর্জন্মের উদাহরণ হিসাবেও মনে করেন।
খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইয়ু একটি প্রতীকী গাছ- মারা যাওয়া স্বজনদের কফিনে ইয়ু গাছের অঙ্কুর দেয়া হয় এবং অনেক চার্চের পাশে এই গাছটি দেখা যায়। তবে খৃষ্টান ধর্মেরও আগে থেকে অনেক আদিবাসী গোষ্ঠী এই গাছটিকে পূজা করে আসছে। তারা সেসব স্থানে তাদের প্রার্থনা কেন্দ্র নির্বাচন করতো, যেখানে আগে থেকেই ইয়ু গাছ রয়েছে।

গাজা
গাজাকে অনেকে 'জ্ঞানগাছ' বলেও ডেকে থাকেন। রাস্তাফারি ধর্মীয় গোষ্ঠীর কাছে গাজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বাস করে, বাইবেলে যে জীবনের গাছের কথা বলা হয়েছে, গাজা গাছ হচ্ছে সেই গাছ, এ কারণে এটি পবিত্র।যদিও গাজার অনেক নাম রয়েছে, তবে এই ধর্মের লোকজন এটিকে ‘পবিত্র ভেষজ’ বলে ডেকে থাকে। তারা মনে করে, এই ভেষজ তাদের ঈশ্বরের কাছাকাছি নিয়ে যায় আর তাদের ভেতরের আধ্যাত্মিক শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। তাদের ভাষায় এই জ্ঞান উদ্ভিদ অনেক রীতিনীতির সঙ্গে গ্রহণ করা হয়। সিগারেট বা পাইপের ভেতর ঢুকিয়ে এর ধোয়া নেয়ার সময় নানা ধর্মীয় আচার পালন করা হয়।
পুদিনা
পুদিনা পাতাকেও পবিত্র হিসাবে মনে করেন অনেক ধর্মাবলম্বীরা। আমাদের পিৎজা বা পাস্তা সসে যে জিনিসটা সবচেয়ে আগে পাওয়া যাবে, তা হলো এই পুদিনা পাতা, কিন্তু অর্থোডক্স খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে এবং গ্রীক চার্চে এটি একটি পবিত্র ভেষজ হিসাবে গণ্য করা হয়।
সূত্র ইন্টারনেট

বিশ্বে সবচেয়ে পবিত্র ৭টি গাছ



তন ক্যান্সার কনটেন্টটিতে স্তন ক্যান্সার কী, লক্ষণ ও উপসর্গ, চিকিৎসা সর্ম্পকে বর্ণনা করা হয়েছে।

স্তন ক্যান্সার একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই এ রোগ হতে পারে, তবে মহিলাদের মধ্যেই এর প্রবণতা বেশি দেখা যায়।



স্তন ক্যান্সার কি

স্তনের কিছু কোষ যখন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে তখন স্তন ক্যান্সার হতে দেখা যায়। অধিকাংশ মহিলাদের জন্য এই রোগ একটি আতঙ্কের কারণ।



স্তন ক্যান্সার হয়েছে কি করে বুঝবেন

স্তন ক্যান্সার হলে সাধারণত: নিচের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয় :

স্তনে একটি পিন্ডের মত অনুভব হয়
স্তনের  বোঁটা থেকে রক্ত বের হয়
স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন হয়
স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দেয়, যেমন-টোল পড়া
স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে যায়
স্তনের  বোঁটার চামড়া উঠতে থাকে
স্তনের ত্বক লালচে যেমন-কমলার খোসার মতো এবং গর্ত-গর্ত হয়ে যায়


কখন ডাক্তার দেখাবেন

নিচের কারণগুলো দেখা দেয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে :

স্তনে নতুন এবং অস্বাভাবিক পিন্ড অনুভব করলে
পরবর্তী মাসিক পার হয়ে গেলেও পিন্ড না গেলে
স্তনের পিন্ড আরও বড় এবং শক্ত হলে
স্তনের বোঁটা থেকে  অনবরত রক্ত নির্গত হলে
স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিলে
স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে


কোথায় চিকিৎসা করাবেন

জেলা সদর হাসপাতাল
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
বিশেষায়িত সরকারী/বেসরকারী হাসপাতাল


কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার  প্রয়োজন হতে পারে

মেমোগ্রাম (Mammogram) বা স্তনের এক্স-রে
ব্রেস্ট আলট্রাসাউন্ড (Breast ultrasound)
ব্রেস্ট ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমাজিং (Breast magnetic resonance imaging, (MRI))
বায়োপসি (Biopsy)
রক্তের পরীক্ষা
বুকের এক্স-রে
কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফী স্ক্যান (Computerized tomography (CT) scan)
পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফী স্ক্যান (Positron emission tomography (PET) scan)


কি ধরণের চিকিৎসা আছে

স্তন ক্যান্সোরের চিকিৎসা নির্ভর করে স্তন ক্যান্সারের ধরণ, পর্যায় ক্যান্সারের কোষগুলো হরমোণ সংবেদনশীল কিনা তার উপর। অধিকাংশ মহিলারাই স্তন অপারেশনের পাশাপাশি অন্যান্য বাড়তি চিকিৎসাও গ্রহণ করে থাকেন। যেমন: কেমোথেরাপী,হরমোণ থেরাপী অথবা রশ্মি থেরাপী ।



সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন.১ . স্তন ক্যান্সার কেন হয় ?

উত্তর . স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলে স্তন ক্যান্সার হয়।



প্রশ্ন .২ . কাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে ?

উত্তর . যাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে তারা হলেন :

পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি
৬০ বছর বয়সের বেশি মহিলাদের
একটি স্তনে ক্যান্সার হলে অপরটিও আক্রান্ত হতে পারে
মা, বোন অথবা মেয়ের স্তন ক্যান্সার থাকলে
জীনগত (Genes) কারণে
রশ্মির বিচ্ছুরণ থেকে (Radiation Exposure)
অস্বাভাবিক মোটা হলে
অল্প বয়সে মাসিক হলে
বেশি বয়সে মনোপজ হলে (Menopause)
বেশি বয়সে প্রথম বাচ্চা নিলে
মহিলারা যারা হরমোন থেরাপী নেন
মদ পান করলে


প্রশ্ন.৩.স্তন ক্যান্সারে কি ধরণের অপারেশন করার প্রয়োজন হয়?

উত্তর. স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সাধারণত যে অপারেশনগুলোর করার প্রয়োজন হয়:

ল্যাম্পপেকটমি (Lumpectomy)
ম্যাসটেকটমি (Mastectomy)
সেন্টিনাল নোড বায়োপসি (Sentinel node biopsy)
অক্সিলারি লিম্ফ নোড ডিসেকশন (Axillary lymph node dissection)




তথ্যসূত্র

www.mayoclinic.com

স্তন ক্যান্সার




কোন রোগীর মৃত্যুর সময় আগ থেকেই জানিয়ে দেবে গুগল। প্রযুক্তি-জায়ান্টটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন(এআই) একটি কম্পিউটার তৈরি করেছে। ওই এআই’টি হাসপাতালে কোন রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে প্রায় ১০০ ভাগ নিশ্চয়তার সঙ্গে বলে দিতে পারবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই রোগী মারা যাবে কি না! এ খবর দিয়েছে দ্য সান।
খবরে বলা হয়, গুগলের এই এআই ৯৫ ভাগ নিশ্চয়তাসহ মৃত্যুর সময় সময় বলে দিতে পারে। কোন রোগীর বয়স, লিঙ্গ ও তিনি কোন জাতির ইত্যাদি তথ্য ও এসবের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসা বিষয়ক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মৃত্যুর সময় জানায় গুগলের এআই।
তবে কেবল ওইসব তথ্যই এর নিশ্চয়তার জন্য পর্যাপ্ত নয়। গুগলের এই এআই, এমন তথ্যও সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে পারে যা অন্যান্য সাধারণ মেশিন পারে না। যেমন, রোগী সম্বন্ধে চিকিৎসকের নোট।
এআই’টি মূলত তৈরি করেছেন স্ট্যানফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো ও ইউসি সান ফ্রান্সিসকোর একটি গবেষক দল। পরবর্তীতে গুগল এটাকে নিয়ে দু’টি মার্কিন চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার ২২১ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর তথ্য ব্যবহার করতে শেখায়।
গুগলের এআই’টি কোন রোগীর বেঁচে থাকা ও মৃত্যু বিষয়ক পূর্বাভাস দেয়ার পাশাপাশি, কোন রোগীর কতদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে, পুনরায় ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাও জানাতে পারে।

রোগীর মৃত্যুর সময় জানিয়ে দেবে যে প্রযুক্তি।

লক্ষণ বুঝতে না পারার জন্য ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছেন এমন অনেকেই জানেন না যে তার এরোগটি আছে। কিডনি রোগের যেকোন স্টেজের জন্যই কিডনি রোগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনই হচ্ছে এই রোগ নিরাময়ের মূল শক্তি। কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকলে সেই অনুযায়ী নিরাময়ের ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়। আপনার অথবা আপনার পরিচিত কারো যদি কিডনি রোগের এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ব্লাড ও ইউরিন টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হোন। কারণ কিডনি রোগের উপসর্গগুলোর সঙ্গে অন্য স্বাস্থ্য সমস্যার উপসর্গের মিল আছে। আসুন জেনে নেই কিডনি রোগের উপসর্গগুলো সম্বন্ধে।

এনার্জি কমে যাওয়া, অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব করা অথবা মনোযোগের সমস্যা হওয়া :

কিডনির কর্মক্ষমতা যখন মারাত্মক ভাবে কমে যায় তখন রক্তে অপদ্রব্য হিসেবে টক্সিন উৎপন্ন হয়। এর ফলে আপনি দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব করেন এবং কোন বিষয়ে মনোযোগ দেয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আরেকটা জটিলতা দেখা দিতে পারে, আর তা হচ্ছে এনেমিয়া। রক্তস্বল্পতার কারণেও দুর্বলতা বা অবসাদ গ্রস্ততার সমস্যা হতে পারে।

ঘুমের সমস্যা হওয়া:
 
যখন কিডনি রক্ত পরিশোধন করতে অপারগ হয় তখন রক্তের টক্সিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বাহির হতে পারেনা বলে রক্তেই থেকে যায়। যার কারণে ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। অবেসিটি বা স্থূলতার সাথে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের যোগসূত্র আছে। এবং নিদ্রাহীনতা ক্রনিক কিডনি ডিজিজের একটি সাধারণ উপসর্গ।

ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ফেটে যাওয়া:
সুস্থ কিডনি অনেক গুরুত্ব পূর্ণ কাজ করে থাকে। কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত তরল বাহির করে দেয়, লাল রক্ত কণিকা তৈরি করে, হাড়কে শক্তিশালী করে এবং খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করে। শুষ্ক ও ফেটে যাওয়া ত্বক খনিজ ও হাড়ের অসুখের জন্য ও হতে পারে যা অ্যাডভান্স কিডনি রোগের সহগামী হিসেবে থাকতে পারে যখন কিডনি রক্তের পুষ্টি উপাদান ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারেনা।

ঘন ঘন প্রস্রাব করা:

যদি আপনার প্রায়ই মূত্রত্যাগের প্রয়োজন হয় বিশেষ করে রাতের বেলায় তাহলে এটা কিডনি রোগের লক্ষণ। যখন কিডনির ছাঁকনি গুলো নষ্ট হয়ে যায় তখন প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পায়। ঘন ঘন মূত্রত্যাগ ইউরিন ইনফেকশনের ও লক্ষণ হতে পারে, পুরুষের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্লেন্ড বড় হয়ে গেলেও এই উপসর্গ দেখা দেয়।

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে:    

সুস্থ কিডনি সাধারণত ব্লাড সেল গুলোকে শরীরের ভিতরে রেখে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ মূত্র হিসেবে বাইর করে দেয়। যখন কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন ব্লাড সেল বের হতে শুরু করে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়ার এই লক্ষণটির কিডনি রোগের সাথে সাথে টিউমার, কিডনি পাথর বা ইনফেকশনেরও ইঙ্গিত হতে পারে।

প্রস্রাবে বেশি ফেনা হলে:

প্রস্রাবে অনেক বেশি ফেনা দেখা দিলে বুঝতে হবে যে, প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন যাচ্ছে। ডিমের সাদা অংশ ফাটানো হলে যেমন ফেনা বা বাবেল হয় প্রস্রাবের এই বুদবুদ ও ঠিক সেই রকম। প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নামক প্রোটিনের উপস্থিতির জন্যই এমন হয়। কিডনির ফিল্টার ড্যামেজ হয়ে গেলে প্রোটিন লিক হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয় বলে প্রস্রাবে ফেনা দেখা দেয়।

চোখের চারপাশে ফুলে গেলে:

যখন কিডনি অনেক বেশি লিক করে তখন প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায় বলে চোখের চারপাশে ফুলে যায়।

পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতা ফুলে গেলে:

কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে পা এবং গোড়ালি ফুলে যায়। পায়ের নীচের অংশ ফুলে যাওয়া হার্ট, লিভার এবং পায়ের শিরার দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

ক্ষুধা কমে গেলে:

এটা খুবই সাধারণ সমস্যা কিন্তু শরীরে টক্সিনের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ফল স্বরূপ ক্ষুধা কমে যায়।

মাংসপেশীতে খিঁচুনি হলে:

কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট হলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা এবং মাংসপেশিতে খিল লাগার সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা কমে গেলেও মাংসপেশিতে খিল লাগার সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়াও বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, সব সময় ঠাণ্ডা অনুভব করা, মাথা ঘোরা, কোমর ও পায়ে ব্যাথা হওয়া ইত্যাদি উপসর্গগুলোও দেখা দিতে পারে। যদি উপরোক্ত উপসর্গগুলো দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিমপল ইউরিন টেস্ট (ACR) এবং ব্লাড টেস্ট (eGFR) করিয়ে আপনার কিডনির কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে পারেন।

কিডনি রোগ আছে, কীভাবে বুঝবেন



প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য আদর্শ করে পাঠিয়েছেন। ইসলাম যে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা সে ব্যবস্থার উদাহরণ রাসূলে আকরাম (সা.)। মহাগ্রন্থ আল কোরআন সে কথাই বলছে, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনে উৎকৃষ্টতম আদর্শ রয়েছে। (সূরা আহযাব, আয়াত নং-২১)। রাসূলের (সা.) জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মুমিনের জন্য অনুকরণীয়। তিনি যেভাবে ঘুমিয়েছেন, যেভাবে কথা বলেছেন, যেভাবে সংসার চালিয়েছেন, যেভাবে ইবাদত করেছেন, যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে জিহাদ করেছেন, সর্বোপরি যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন- ঠিক সেভাবে অনুসরণ করাই মুমিনের কর্তব্য। তার থেকে কোনো কিছু কমবেশিও করা যাবে না। করলে সেটা বিদায়াত, আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাসূল (সা.) আল্লাহর অতি প্রিয় ছিলেন। রাসূলকে মানুষ হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়ে মানুষের আদর্শ বানিয়েছেন। রাসূল (সা.) অন্যান্য মানুষের মতোই খাওয়া-দাওয়া করতেন, বাজারে যেতেন, সংসার জীবনযাপন করেছেন। সমাজে বাস করেছেন। কাফেররা বরং বিস্ময় প্রকাশ করত, তাদের কথা আল্লাহ কোরআনে তুলে ধরেছেন, এ আবার কেমন রাসূল যে খাওয়া-দাওয়া করে এবং হাটে-বাজারে যাতায়াত করে! (সূরা ফোরকান, আয়াত-৭)। রাসূল (সা.) অবশ্য কারও কথা গায়ে মাখেননি বরং তার শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেও তিনি ইসলামের পথে অটুট ছিলেন, দ্বীনের কাজ করে গেছেন। আর এ দ্বীনের স্পর্শে এসেই সব মানুষ সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে। রাসূল (সা.) তার সাহাবাদের নিয়েই সবচেয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অসভ্য আরব জাতিকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ, সভ্য জাতিতে পরিণত করলেন। রাসূল (সা.) মহাগ্রন্থ আল কোরআন দিয়েই তা করেছেন। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে অহি আসত। তিনি নিজ থেকে কিছু বলেননি। কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, 'তিনি নিজের খেয়ালখুশিমতো কথা বলেন না, যা বলেন তা তার কাছে নাজিলকৃত অহি ছাড়া আর কিছুই নয়।'
রাসূলের (সা.) আদর্শ মেনে চলব দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের মুক্তি লাভের জন্য। রাসূল যা বলেছেন, যা করেছেন তার মধ্যেই সত্যিকার সফলতা নিহিত রয়েছে। জীবনের কোনো পর্যায়ে তিনি মিথ্যা বলেননি। ছোটবেলাতেই উপাধি পেয়েছিলেন, আল-আমিন, আস-সাদিক। আমানতদারিতায় তিনি ছিলেন অতুলনীয়। কাফেররা পর্যন্ত তার কাছে আমানত রাখত। বন্ধু হিসেবে তিনি অতুলনীয়। পিতা হিসেবে অনুপম। নেতা হিসেবে অসাধারণ। সাহাবায়ে কেরাম তাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। শিশুর ভরসাস্থল ছিলেন রাসূল। সেনাপতি হিসেবে তিনি অনন্য। জিহাদের ময়দানে রাসূলের নেতৃত্বেই মুসলামানরা জয় ছিনিয়ে আনেন। এখানেও রাসূলের আদর্শ বিশ্ববিখ্যাত। তিনি বলেছেন, কেউ আক্রান্ত হওয়ার আগে কোনো শত্রুকে আক্রমণ করা যাবে না। যুদ্ধে নারী-শিশু-অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতির কথা বলেছেন। স্ত্রীদের কাছে রাসূল (সা.) শ্রেষ্ঠতম স্বামী। প্রিয় নবী (সা.) সারাদিনের দ্বীনের কাজে সময় দিয়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে যখন বাড়ি ফিরতেন, ঘরে খাবার না পেয়েও তিনি গোসা হননি। বরং যখন দেখতেন খাবার প্রস্তুত হয়নি, স্ত্রী কাজ করছে, রাসূলও (সা.) কাজে লেগে স্ত্রীদের সাহায্য করতেন। এভাবেই তো তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মানুষ। দুনিয়ার মানুষের সর্বোত্তম আদর্শ।
মহান আল্লাহ তার হাবিবকে দুনিয়ার জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। কোরআন সাক্ষ্য দিচ্ছে, 'হে নবী, আমি আপনাকে গোটা সৃষ্টির জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।' (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-১০৭)। রাসূল দুনিয়াবাসীকে সব শিখিয়েছেন। জীবনের কোনো কিছু তিনি বাদ দেননি। শিশুর সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে। পয়ঃনিষ্কাশন কীভাবে করতে হবে। কীভাবে খেতে হবে কিছুই বাদ যায়নি। দুনিয়ায় তার কোনো শিক্ষক ছিল না। স্বয়ং আল্লাহ তাকে অহির মাধ্যমে শিখিয়েছেন। আর আমাদের সবার শিক্ষক করেছেন তাকে। এ জন্যই রাসূল বলেছেন, আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। রাসূলে মকবুলের (সা.) শ্রেষ্ঠত্ব অন্য ধর্মাবলম্বীরাও স্বীকার করেছেন।
রাসূলের (সা.) আনীত জীবনব্যবস্থা ইসলাম। প্রিয় নবী সে ইসলামের পূর্ণতা দিয়েছেন। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ জীবনব্যবস্থা হিসেবে দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছেও কেবল মনোনীত জীবন বিধান ইসলাম। এখন রাসূল আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তিনি দুটি জিনিস রেখে গেছেন। রাসূল বিদায় হজের ভাষণে তা-ই বলেছেন, 'আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে গেলাম- ১. কিতাবুল্লাহি আল্লাহর কিতাব অর্থাৎ কোরআন এবং ২. আমার সুন্নাহ বা কর্মনীতি তথা হাদিস; যতদিন তোমরা এই দুটিকে আঁকড়ে ধরে রাখবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। আজকের মুসলমানদের দুর্দশার কারণ হলো কোরআন ও হাদিস থেকে সরে যাওয়া। এই রবিউল

রাসূল (সা.) অনুকরণীয় জীবনাদর্শ

মধুকে তরল স্বর্ণ বলা হয় । আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি বড় অংশ মধু। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটি সারা বছরই খাওয়া যায় । তবে এই বর্ষায় সুস্থ থাকতে মধু নিয়মিত খেতে পারেন। বর্ষার বিভিন্ন রোগ-বালাই থেকে সুরক্ষা দিতে মধু বেশ উপকারী। বর্ষাকালে অনেকে ভাইরাসজনিত সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাক্রোবিয়াল উপাদান। এগুলো বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

প্রাচীন কাল থেকে রসুনের উপকারিতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী চর্চা। চিকিত্সাশাস্ত্রে রসুনের ব্যবহার বহু দিনের। নিয়মিত রসুন খাওয়া রপ্ত করতে পারলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ এবং উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হার্ট অ্যাটাক রুখতেও তার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি সাধারণ সর্দি-কাশি, ফ্লু, ছত্রাক সংক্রমণ ও ডায়েরিয়া সারাতেও কাজে দেয় রসুন। এছাড়া অস্টিওআর্থারাইটিস, ডায়াবিটিস এবং প্রস্টেট সম্প্রসারণ রোধ করতে কাঁচা রসুন খাওয়ায় উপকারিতা মেলে। শরীরের দূষণ রুখে রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়া মজবুত করতে রসুন অদ্বিতীয়। আবার কেমোথেরাপির বিষক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতেও পেঁয়াজ-আদা-রসুনের প্রয়োগ অব্যর্থ।

রসুন কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আসলে উনুনে বা আভেনে চাপালে রসুনের মূল রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন-এর গুণাগুণ নষ্ট হয়। খাওয়ার আগে রসুনের কোয়া বেটে বা ফালি করে কেটে নিয়ে ১৫ মিনিট সরিয়ে রাখতে হবে। রসুনের কোয়া বাটার পর যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তাতে, তাতে অ্যালিসিন সহজে হজম হতে সুবিধা হয়। মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বেশি ফল মিলবে যদি খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া যায়।

রসুন কাজে লাগিয়ে তৈরি করা যায় বিভিন্ন রোগের টোটকা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক অব্যর্থ দাওয়াইয়ের কিছু উপকরণ প্রণালী।

১) কাঁচা রসুন ও মধু :
রসুনের ২-৩টি কোয়া কুচিয়ে নিন। তার সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খেলে শরীর ফিট ও এনার্জিতে ভরপুর থাকবে।

২) রসুনের ফ্লু টনিক :
অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বক হলেল এই টনিক বানানোর সময় হাতে দস্তানা পরে নিন এবং চোখে হাতের ছোঁয়া এড়িয়ে চলুন। জোগাড় করে ফেলুন অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ৫ কোয়া রসুন কুচি, ২টি শুকনো লঙ্কা কুচি, ১ টেবিলচামচ আদা কুচি, একটি গোটা পাতিলেবুর রস এবং অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।

প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ-রসুন-আদা-শুকনো লঙ্কা কুচি মেশান। আলাদা পাত্রে লেবু চিপে রস তৈরি রাখুন। এবার কুচোনো উপকরণে লেবুর রস মেশান। সব শেষে ভিনিগার ঢেলে মিশিয়ে অন্তত ১ সেন্টিমিটার ফাঁক রেখে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও ফ্লু সারাতে নিয়মিত ব্যবহার  করতে পারেন ।

খালি পেটে রসুন আর মধু এক সপ্তাহ খান, দেখুন কী হয়!

Subscribe Our Newsletter